নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থিত ফতুল্লা মডেল থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাদীন খানপুর, সবুজবাগ ও তল্লা এলাকায় মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতাদের অবস্থান এখন চোখের পড়ার মতো। অত্র এলাকাগুলোর চিহ্নিত মাদক ব্যবাসয়ী ১। জীবন(২৪), পিতা- মোঃ ফারুক মিয়া, ২। ফারুক (জীবনের বাবা), পিতা- অজ্ঞাত, ৩। পান্না(২৫), পিতা- মোঃ সাইদ লাল, ৪। মোঃ সোহেল(৩৫), পিতা- কানু মিয়া, ৫। ইব্রা(৩৮), পিতা- অজ্ঞত, ৬। ফালান ওরফে সুজন(২৫), ৭। মোঃ বাবু(২০), উভয় পিতা- মৃত: হাসেম, সর্ব সাং- সিকশনবাড়ী, সবুজবাগ, ৮। আলম(২৫), পিতা- অমুচান, ৯। রাজু(২৪), পিতা- মোস্তফা, উভয় সাং- খানপুর গন এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
দিনকে দিন অত্র এলাকাগুলোতে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীরা প্রভাব বিস্তার করে চলছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকার অলি গলিতে ফেরি করে মাদক জাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট, গাজা সহ বিভিন্ন রকম মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। অন্যদিকে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক ব্যবসার কারনে নারায়ণগঞ্জ ও এর আশপাশ এলাকা থেকে সি.এন.জি, অটো রিক্সা, মটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার যোগে বহিরাগত লোকদের চলাফেরাও বেড়ে গেছে অত্র এলাকাগুলোতে।
জানা যায় উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় বেশ কিছু মাদক দ্রব্য আইন সহ চুরি, ডাকিত, মারামারি, বিস্ফোরক মামলা আছে। জানা যায় ১। জীবন(২৪), পিতা- মোঃ ফারুক ফতুল্লা মডল থানার এফ আই অর নং- ৫৪, তারিখ- ২৩ মার্চ, ২০১৩, ধারা ১৪৩/ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩৮০/ ৪২৭/ ৫০৬ পেনাল কোড- ১৮৬০; এ এজাহার ভুক্ত আসামী, ২। ফারুক (জীবনের বাবা) ফতুল্লা মডেল থানার মাদক দ্রব্য আইনের মামলার আসামী, ৩। পান্না(২৫), পিতা- মোঃ সাইদ লাল- ফতুল্লা মডেল থানার মামলা নং-৫৪, তারিখ- ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ধারা: ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯(১) এর ৯(খ)/১৯(১)-এর ৯(ক) মামলার এজাহারের অভিযুক্ত আসামী, ৪। মোঃ সোহেল, পিতা- কানু মিয়া ফতুল্লা মডেল থানার মামলা নং- ১৮, তারিখ- ০৪ অক্টোবর, ২০১৭ ধারা ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ) এর এজাহার অভিযুক্ত আসামী।
এ সকল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় আইনের আওতায় আসলেও জেল হাজত থেকে মুক্ত হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসার সাথে সম্পক্ত হয়ে যায় এবং এ সকল আসামীরা যখনই থানা পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায় ঠিক তখনই এলাকার অবস্থা পূর্বের চেয়ে বেশী ভয়াবহ আকার ধরন করে।
অন্যদিকে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় উল্লেখিত আসামী গণরা নারায়ণগঞ্জের পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করে যার ফলে এলাকার বাসীন্দারা তাদের মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে ডিবি পুলিশ দিয়া হয়রানি করায় বলে জানা যায়। খানপুর, তল্লা ও সুবজবাগ এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
ফতুল্লা মডেল থানাদীন চাষাড়া ফাঁড়ীর টহলরত পুলিশের টিম গুলো রাত্র অনুমান ১.০০ ঘটিকা থেকে ৩.০০ ঘটিকা পর্যন্ত চানমারী মাউরাপট্টি চায়ের দোকানে বসে বাংলা সিনেমা দেখে এবং অন্যদিকে সবুজবাগ, খানপুর ও তল্লা এলাকা গুলোতে মাদকের প্রসরা সাজিয়ে বসে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীরা। যার ফলে এলাকাবাসী মনে করেন যে, পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে হয়তো কোন সক্ষ্যতা আছে। তা না হলে চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ির টিম কেন নির্দ্দিষ্ট একটি স্থানে সময় অতিবাহিত করে চলে যাবে?